মাত্র ৪৫ দিনে ৩-৪ কেজি ওজন
পানিবিহীন হাঁস পালনে সফলতা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৯-০৬-২০২৫ ০১:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০৬-২০২৫ ০২:৩৬:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
‘পিকিং স্টার ১৩’ জাতের হাঁস পালন করে সফলতার মুখ দেখেছেন ফরিদপুরের কামরুল নাহার। এই নতুন জাতের হাঁস পালনে পানির প্রয়োজন হয় না। পানি ছাড়াই খাঁচায় সহজে পালন করা যায়। মাত্র ৪৫ দিনে ৩-৪ কেজি ওজন হয়ে যায়। প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হয় ৩৫০-৪০০ টাকায়। এতে সফলতা দেখা দিয়েছে কামরুল নাহারের। উদ্যোক্তা কামরুল নাহার ফরিদপুর শহরতলির কোমরপুর গ্রামের সাহান খানের স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরুল নাহার আগে মুরগি পালন করতেন। কিন্তু তাতে মোটেও লাভের মুখ দেখেননি। মুরগির রোগব্যাধির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। এসময় সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) নামের একটি এনজিও তাকে ‘পিকিং স্টার ১৩’ হাঁস পালনের পরামর্শ দেয়। ছয় মাস আগে নতুন জাতের হাঁস পালন শুরু করেন। হাঁস পালনের পাশাপাশি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। এতেই ধরা দিয়েছে সফলতা।কামরুল নাহারের প্রতিবেশী খায়রুন সুলতানা বলেন, আমাদের গ্রামেই কামরুল নাহারের খামার থেকে সহজেই হাঁস কিনতে পারছি। এই সুবিধা তাকে স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
জানতে চাইলে কামরুল নাহার বলেন, “আগে মুরগি পালন করতাম। রোগে মুরগি মারা যায়। এতে ক্ষতির পর আমি ভেবেছিলাম সব শেষ। মাসছয়েক আগে এসডিসির সহায়তায় ‘পিকিং স্টার ১৩’ হাঁস পালন শুরু করি। এই হাঁস পালন সহজ, কম খরচে লাভ বেশি। এখন ফরিদপুরের হোটেল থেকে শুরু করে অন্য জেলাতেও আমার হাঁস সরবরাহ হচ্ছে। শিগগির ৫০০ থেকে এক হাজার হাঁস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।”
এ বিষয়ে এসডিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, আমরা তাকে প্রশিক্ষণ ও ৫০টি হাঁসের বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করতে সাহায্য করি। দুটি বাচ্চা মারা গেলেও ৪৮টি হাঁস বিক্রি করে তিনি ৪৮ হাজার টাকা আয় করেন। এরপর ২০০টি বাচ্চা নিয়ে বড় পরিসরে হাঁস পালন শুরু করেন। এখন তিনি আরও বড় পরিসরে হাঁসের খামারের পরিকল্পনা করছেন।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, কামরুল নাহারের ‘পিকিং স্টার ১৩’ হাঁস পালনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা তাকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ, ওষুধ সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণে সহায়তা দিচ্ছি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স